মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা ভাস্কর্য পড়ে ছিল ২ কিমি দূরে

শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বেশির ভাগ অংশ সড়কে পড়ে ছিল। শুক্রবার সকালে মেহেরপুরের কেদারগঞ্জ বাজার এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

মেহেরপুরে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য দুই কিলোমিটার দূরে কেদারগঞ্জ বাজার এলাকায় সড়কে পড়ে ছিল। আজ শুক্রবার ভোরে স্থানীয় লোকজন মুজিবনগর থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ম্যুরালের ক্ষতবিক্ষত অংশ তুলে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর শতাধিক তরুণ মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢোকেন। পরে আজ ভোরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের বেশির ভাগ অংশ কেদারগঞ্জ বাজার এলাকায় সড়কে পড়ে ছিল। পড়ে থাকা অংশে মাথা ও হাত ছিল না। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ভাস্কর্যের ভাঙা অংশ নিয়ে গেছে। মুজিবনগর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের দেয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালও ভাঙচুর করা হয়েছে।

কেদারগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্দা সফি মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গতকাল রাতে একদল লোক ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভেতরে রড, হাতুড়ি, লাঠি, লোহাকাটা করাত নিয়ে প্রবেশ করে। তারা ঘণ্টাখানেক পরেই একটি সাদা রঙের ভাস্কর্য মুজিবনগর–মেহেরপুর সড়কের কেদারগঞ্জ বাজার এলাকায় ফেলে রেখে যায়।’

বৃহস্পতিবার রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে
ছবি: প্রথম আলো

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে শতাধিক তরুণ-যুবক রড, বাঁশ ও হাতুড়ি নিয়ে স্মৃতি কমপ্লেক্সে প্রবেশ করেন। প্রথমে তাঁরা শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটির মাথা ভেঙে গুঁড়া করে ফেলেন। একই সময় এলোপাতাড়ি ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ ভাস্কর্যে আঘাত করা হয়। আরও একটি বিক্ষুব্ধ দল অন্য ভাস্কর্যগুলোতে ভাঙচুর চালায়। কমপ্লেক্সের মধ্যে দেশের মানচিত্রের আদলে তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধের বর্ণনা–সংবলিত ছোট ভাস্কর্যগুলো ভেঙে আশপাশে ছুড়ে ফেলা হয়। শহীদ স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকটি ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয়।