মাদারীপুরে হাসপাতালে চিকিৎসকসহ ৪ জনকে মারধরের অভিযোগ, আটক ২

মাদারীপুর জেলার মানচিত্র

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ চারজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের ঘটনায় রাতেই দুই তরুণকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার হাজিরহাওলা গ্রামের আতিকুর রহমান জমাদ্দারের ছেলে হৃদয় জমাদ্দার (২৩) ও ঝাউদি এলাকার মজিবর শেখের ছেলে রিফাত ইসলাম (২৪)।

অভিযুক্ত হৃদয়ের ভাষ্য, তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ‘দায়সারা কাজের প্রতিবাদ’ করেছেন। মারামারি করেননি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলার হাজিরহাওলা গ্রামের আতিকুর রহমান জমাদ্দারের ছেলে সাইফুল জমাদ্দার (২২) গতকাল রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় ব্যবস্থাপত্রে নাম লিখতে দেরি করেন ওয়ার্ড বয় সামচুর রহমান (৫৫)। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুলের সঙ্গে থাকা তাঁর ভাই হৃদয় জমাদ্দার ও রিফাত ইসলাম বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। হৃদয় ও রিফাতের সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন। বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে হৃদয় ও রিফাত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সালমান চৌধুরীকে মারধর শুরু করেন। তাঁকে রক্ষায় হাসপাতালের অন্য কর্মীরা এগিয়ে এলে ওয়ার্ড বয় সামচুর রহমান, ট্রলি বয় হালান ব্যাপারী (২৮) ও আকাশ সরদারকেও (২০) মারধর করা হয়। খবর পেয়ে হৃদয় ও রিফাতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

চিকিৎসক সালমান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি সব ধরনের রোগীদের সমানভাবে সেবা দিতে। কিন্তু কিছু রোগীর স্বজনেরা কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। আমরা তো আর বসে ছিলাম না। অন্য একজনকে চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। কিন্তু জ্বরে আক্রান্ত এক রোগীর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করলেও তাঁর স্বজনেরা বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালান।’

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে আটক হওয়ার আগে হৃদয় জমাদ্দার বলেন, ‘হাসপাতালে দায়িত্বশীল কোনো চিকিৎসক নেই। সবাই দায়সারা কাজ করেন। আমি প্রতিবাদ করেছি, কারও ওপর হামলা করি নাই।’

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালের কর্মীদের মারধরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে থানায় নিয়ে এসেছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।