শ্রীপুরে শৌচাগার থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

লাশপ্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বাড়ির শৌচাগার থেকে আমেনা বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রাম থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন ওই গৃহবধূর স্বামীসহ বাড়ির লোকজন।

আমেনা বেগম ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। আনোয়ার পেশায় রাজমিস্ত্রি। এই দম্পতির দেড় বছরের মেয়ে ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলে আছে।

আমেনার স্বজনেরা জানান, শনিবার দুপুরে তাঁরা মৃত্যুর সংবাদ পান। আমেনার স্বামী ফোন করে মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছেন। পরে বাড়িতে এসে ঘরের সঙ্গে সংযুক্ত টয়লেটের মেঝেতে আমেনার লাশ দেখতে পান তাঁরা। তবে বাড়িতে অন্য কাউকে পাননি তাঁরা।
আমেনার মা মনোয়ারা বেগম বলেন, খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে মেঝেতে নিজের মেয়ের লাশ দেখতে পেয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে তাঁর স্বামী পিটিয়ে হত্যা করেছেন। ঘটনা ঘটিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন স্বামী ও বাড়ির লোকজন।

মনোয়ারা বেগম আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। আনোয়ার প্রায়ই আমেনাকে মারধর করতেন। গত শুক্রবার রাতে স্বামী আমেনাকে ব্যাপক মারধর করেন। ওই রাতে কয়েক দফা তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। মারধরের এক পর্যায়ে আহত অবস্থায় তাঁকে বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পরে বাড়ির এক স্বজন রাতেই আহত অবস্থায় তাঁকে (আমেনা) ঘরে দিয়ে যান।

এ ঘটনায় আনোয়ার বা তাঁর বাড়ির অন্য কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শনিবার সকাল থেকেই আনোয়ারসহ বাড়ির লোকজন পলাতক। আনোয়ারের মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি টয়লেটের মেঝেতে লাশ পড়ে আছে। লাশের থুতনির নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’