সিলেটে কলেজছাত্রী হত্যার ঘটনায় মামলা, মামাতো ভাই গ্রেপ্তার
সিলেট নগরের খুলিয়াটুলা এলাকায় কলেজছাত্রী সনিয়া আক্তার (২১) হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলা হয়েছে। নিহত ছাত্রীর বড় ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নিহত ছাত্রীর মামাতো ভাই সজীব আহমদকে (২৫) আসামি করা হয়েছে। গত রোববার দুপুরে নগরের খুলিয়াটুলা এলাকার ভাড়া বাসার একটি কক্ষে সনিয়া আক্তারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, সজীব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।
এদিকে শিশু অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে আরেকটি মামলায় সজীব আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সম্পর্কে আজ দুপুরে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, সনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। এতে তাঁর মামাতো ভাই সজীব আহমদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। সজীবকে সোমবার রাতে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি র্যাবের হেফাজতে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে র্যাব-৯–এর সদর দপ্তরে সজীব আহমদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় র্যাব-৯–এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোমিনুল হক বলেন, সজীবের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ঢাকায় মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে শিশু অপহরণ ও সহায়তার ঘটনায় ঢাকার ভাষানটেক থানায় একটি মামলা রয়েছে। সোববার রাতে র্যাব অভিযান চালিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
নিহত ছাত্রীর স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, সনিয়া স্থানীয় আঞ্চলিক নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি টিকটক করতেন। তাঁর কাছে বেশ কিছু টাকা ছিল। তাঁদের বাড়িতে প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে তাঁদের মামাতো ভাই সজীব অবস্থান করছিল। গত শনিবার রাতে সনিয়ার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের অন্য সদস্যরা হাসপাতালে যাতায়াতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। গত রোববার সকালে বাড়িতে সনিয়া, তাঁর ভাবি ও সজীব ছিলেন। রোববার বেলা ১২টার দিকে সনিয়ার মা বাড়িতে ফেরেন। তখন মা ও ভাবি সনিয়ার কক্ষে গিয়ে খাটের ওপর তাঁর গলাকাটা লাশ দেখতে পান। তাদের দাবি, তাঁকে হত্যা করে সজীব টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।