কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর সদরের ডিক্রির চর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ওরফে মিন্টুর (৫০) বিরুদ্ধে আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকার সম্পদ থাকার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপসহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে আজ সোমবার মামলাটি করেন।

ডিক্রির চর ইউপির চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি ফরিদপুর সদরের আইজদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেহেদী হাসান তাঁর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৩৮১ টাকার সম্পদের তথ্য প্রদর্শন না করে গোপন করেছেন। সেই সঙ্গে মিথ্যা তথ্য প্রদানসহ ১ কোটি ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল মেহেদী হাসানকে তাঁর নিজের, স্ত্রীর এবং তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি, দায়দেনা, আয়ের উৎস এবং সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছিল। মেহেদী হাসান সম্পদের যে বিবরণ দেন, তার আলোকে তদন্ত করে দুদক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি  ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকার সম্পদ পাওয়ার মামলাটি করা হয়েছে।

এ মামলাকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট হিসেবে দাবি করেছেন ডিক্রির চর ইউপির চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমার এ তথাকথিত আয়বহির্ভূত টাকা কোন ব্যাংকে রয়েছে, আমি সেই ব্যাংকের ঠিকানাটা জানতে চাই। এই টাকা পেলে আমার অনেক উপকার হতো।’ তিনি খেদ প্রকাশ করে বলেন, ‘খুশি করতে না পারার কারণে আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা মামলা হয়েছে, এতটুকু বললাম, বাকিটুকু বুঝে নিন।’

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, তদন্তে আয়বহির্ভূত সম্পদের সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। মেহেদীর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, একজন অপরাধী তাঁর অপরাধ ঢাকতে ও অপরাধ থেকে বাঁচাতে নানা পন্থা অবলম্বন করে থাকেন।