সিংড়ায় তারাবিহ নামাজের ইমামতি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ইমামসহ আহত ২

সংঘর্ষ
প্রতীকী ছবি

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় তারাবিহর নামাজে ইমামতি করা নিয়ে একটি গ্রামের দুই পক্ষের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের তালঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতের মধ্যেই পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

সিংড়া থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সুকাশ ইউনিয়নের তালঘরিয়া জামে মসজিদের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় পাশের মসজিদে তারাবিহর নামাজ পড়ানো হচ্ছিল। এখানে ইমামতি করছিলেন ইসরাফিল নামের এক ব্যক্তি। সম্প্রতি গ্রামের কিছু ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে নানা কথা বলে তাঁর পেছনে নামাজ আদায় করতে অসম্মতি জানান। তাঁরা সুকানগাড়ি গ্রাম থেকে ইউনুস আলী নামের একজন ইমামকে এনে গ্রামের একটি বাড়িতে তারাবিহর নামাজ আদায় করতে শুরু করেন।

গতকাল রাতে আগের ইমাম ইসরাফিলের বাবা ইয়াছিন আলী তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়ানো ও ভিন্ন ইমাম দিয়ে নামাজ পড়ানোর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন, কুরবান আলী, মহব্বত আলী ও মাসুদ রানার সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ইয়াছিন আলী ও ইসরাফিল রক্তাক্ত হন। খবর পেয়ে ইয়াছিনদের লোকজন প্রতিপক্ষের ৮–১০ জনকে ঘিরে ফেলেন। ঘটনাটি মুঠোফোনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে জানানো হলে রাতেই সেখানে পুলিশ-সেনাসদস্যরা যান এবং পরিস্থিতি সামাল দেন। তাঁরা আটকে পড়া ব্যক্তিদের বাড়িতে ফিরতে সহযোগিতা করেন। পরে আহত ব্যক্তিরা সিংড়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

আহত ইয়াছিন আলী অভিযোগ করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে তাঁকে দায়িত্ব থেকে বাদ দিয়েছেন, এটা ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযুক্ত কুরবান আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁরা মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসমাউল হক এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ জমা দেননি।