বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে প্রধান আসামির জবানবন্দি

ধর্ষণবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে শিক্ষার্থী

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ টিপু (২৪) দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মহিববুল্লাহ ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে আসামি টিপুকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার রাতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোহাম্মদ টিপু বিয়েবাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। গতকাল দুপুরে টিপুকে আদালতে হাজির করে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাহবুবুল আলম। সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মহিববুল্লাহ আসামি টিপুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

ওই কিশোরীর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরীটি তার পরিবারের সঙ্গে একই উপজেলার এক আত্মীয়ের বিয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে যায়। রাতে তার মা-বাবা মেয়েকে রেখে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদ টিপু ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত টিপু, তাঁর মা-বাবাসহ চারজনকে আসামি করে কবিরহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

মামলার অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।