আশুগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে যুবদলের সাবেক নেতাসহ দুজন গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে মাদকবিরোধী অভিযানে বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিবসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৩৫০ ইয়াবা বড়িসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার আশুগঞ্জ গোলচত্বর এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জেলার বিজয়নগর উপজেলার মাদবেরবাগ এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও একই উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪২)। রফিকুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পিডিবি কার্যালয়ের পাশে বিল্লালের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে নেতৃত্ব দেন আশুগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসাহাক মিয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. মহিউদ্দিন। সে সময় আনোয়ার ও রফিকুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁদের কাছ থেকে ৩৫০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। সে সময় তাঁদের একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে অবগত নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশুগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তি জানান, গতকাল রাতে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়িসহ আটক করা হয়। পরে বিষয়টি রফাদফা করে ৩৫০ ইয়াবা বড়ি দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পুলিশের এক সোর্স পাখি জসিম ও বিজয়নগরের আরেক মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বাকি ইয়াবা বড়িগুলো কিশোরগঞ্জের ভৈরবের জীবন মিয়া নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হয়। জীবন মিয়া রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে কালো রঙের একটি প্রাইভেট কারে এসে ইয়াবা বড়িগুলো কিনে নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আনোয়ার ও রফিকুল বিজয়নগর উপজেলার চিহ্নিত বড় মাদক ব্যবসায়ী।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বড়িসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইয়াবা বড়ির সংখ্যা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছেও তথ্য ছিল তাঁদের কাছে অনেক বেশি পরিমাণ ইয়াবা বড়ি রয়েছে। তবে তাঁরা হয়তো পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেসব ইয়াবা বড়ি অন্যত্র ফেলে দিয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে ভিডিও করে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ পুলিশের সোর্সের মাধ্যমে ইয়াবা বড়ি বিক্রি করে দেওয়ার বিষয়ে ওসি দাবি করেন, অভিযোগটি সত্য নয়।