ঈশ্বরদীতে রিকশাচালককে গুলি করা যুবলীগ নেতার ভাই গ্রেপ্তার, রিমান্ড মঞ্জুর
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় রিকশাচালক মামুন হোসেনকে (২০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ নেতার ভাই আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার আরামবাড়িয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনো উদ্ধার হয়নি।
এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ৪ নম্বর আসামি ইব্রাহিম হোসেনকে (২৬) কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে মামলার হুকুমের আসামি যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল র্যাব। এ নিয়ে মামলার এজাহারনামীয় চার আসামি গ্রেপ্তার হলো।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেন ও কুষ্টিয়া থেকে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, গ্রেপ্তারের পর আনোয়ারকে আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধারের কাজ চলছে।
৪ জানুয়ারি রাতে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নসিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েকজন যুবক এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবি, তাঁদের মধ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি ও সুমন হোসেন নামে আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে রকিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। সুমন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় যুবলীগ নেতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনকে গুলি করার হুকুম দেওয়ার অভিযোগে প্রধান আসামি এবং তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।