লালন আখড়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়ায় সংবাদ সংগ্রহের সময় এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ফয়সাল মাহমুদ প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন—কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর এলাকার মৃত হোব্বার ছেলে মো. রিন্টু (২০) ও কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়া এলাকার ওবাইদুল বিশ্বাসের ছেলে মো. ফাহিম।

গত মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সংগ্রহের সময় ছেঁউড়িয়ায় আখড়াবাড়ির সামনে কালী নদীর পাড়ে লালন তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের স্থায়ী মূল মঞ্চের পাশে অতর্কিতভাবে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা পোস্ট-এর কুষ্টিয়া প্রতিনিধি রাজু আহমেদ আহত হন। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার রাতে কুমারখালী থানায় তিনি মামলা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছিল। বুধবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের আজ যেকোনো সময় কুমারখালী থানায় সোপর্দ করা হবে। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হবে।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়াবাড়ি চত্বরে লালন তিরোধান দিবস উপলক্ষে তিন দিনের স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে। জাতীয়ভাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থীর সমাগম হবে।

আরও পড়ুন

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু মনি জুবায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদের গড়িমসি লক্ষ করা যায়। এরপর তিরোধান দিবসের সংবাদ বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। সাংবাদিকেরা ছেঁউড়িয়ায় সংবাদ সংগ্রহে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির আহ্বায়ক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনা শোনামাত্র দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। ছেঁউড়িয়ায় সাংবাদিকসহ সবার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।