নাটোরে বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির এক নেতার পদ বাতিলের দাবি, কুশপুত্তলিকা দাহ
নাটোর জেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেমের পদ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন একাংশের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাটোর শহরের উপকণ্ঠে দত্তপাড়ায় নাটোর-ঢাকা মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ওই বিএনপি নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দত্তপাড়া বাজার-সংলগ্ন মহাসড়কে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা ‘ওরা কারা’ লেখা ব্যানার হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তাঁরা দত্তপাড়া বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রচার সম্পাদক জুয়েল রানা বলেন, গত রোববার কেন্দ্রঘোষিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে আবুল কাশেম নামের একজনকে পদ দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁকে তাঁরা কেউ চেনেন না। গত ১৭ বছর তাঁকে নাটোরের মাটিতে বিএনপির কোনো আন্দোলন কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। তাঁকে কীভাবে নেতা বানানো হলো প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সমাবেশে সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোন্তাজ আলী প্রামাণিক বলেন, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবুল কাশেম আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। তাঁকে অর্থসহায়তা দিয়েছেন। তাঁকে কীভাবে আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান দেওয়া হলো, আমরা বুঝতে পারছি না। তাঁকে অবিলম্বে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।’
সমাবেশে শ্রমিক দলের সহসভাপতি হানিফ মোল্লা, বড়হরিশপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি গোলাপ মোল্লা, দত্তপাড়া শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে শহরের কানাইখালীতে নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমানের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা করে তাঁর বাড়ির জানালার কাচ ও এসি ভাঙচুর করে। তাঁর অভিযোগ, পদবঞ্চিত নেতাদের ইন্ধনে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালিয়েছে।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৩ সালে রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের (দুলু) নির্দেশে তাঁর লোকজন আমাকে ব্যাপক মারধর করেছিল। আমাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়েছিল। তখন বেগম খালেদা জিয়া আমাকে নাটোরে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তাই নাটোরে আসা হয়নি। তবে গাজীপুরে আমি আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম।’