মুন্সিগঞ্জে মেয়র পদে উপনির্বাচন এজেন্ট নেই, ভোটারদের উপস্থিতিও কম

ভোট কক্ষে এক পক্ষের এজেন্ট থাকলেও নেই অন্য পক্ষের এজেন্ট।আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয় কেন্দ্রেছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে এই পৌরসভার ২৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম। দুই প্রার্থীর একজনের এজেন্টই নেই।

গত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন মোহাম্মদ ফয়সাল। এতে এ পৌরসভা মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে আজ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

উপনির্বাচনে দুই প্রার্থীর একজন মাহাতাব উদ্দিন (কল্লোল)। তিনি নারকেলগাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। মাহাতাব উদ্দিন মুন্সিগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে মেয়র পদে জগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চৌধুরী ফারিহা আফরিন। তিনি মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সালের স্ত্রী।

আজ সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জ পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়কেন্দ্রের ৬টি কক্ষ ঘুরে দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি কম। কোনো কক্ষের সামনে দু-একজন ভোটার আছেন। কোনো কোনো কক্ষে ভোটার নেই। কেন্দ্রের মাঠও ভোটারশূন্য। এসব কক্ষের ভেতর জগ প্রতীকের এজেন্ট থাকলেও ছিল না নারকেলগাছ প্রতীকের কোনো এজেন্ট। তবে ভোটের পরিবেশ ছিল শান্ত।

পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শেখ মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৫০৫ জন পুরুষ ভোটার আছেন। ভোটার উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত ১২ দশমিক ৮৯ ভাগ ভোট পড়েছে। প্রার্থীর এজেন্ট না থাকার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নারকেলগাছ প্রতীকের কোনো এজেন্ট আসেননি। কেন আসেননি, এটা জানা নেই।’

তবে এই কেন্দ্রে নারী ভোটারদের সংখ্যা বেশি ছিল। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ কেন্দ্রে ২ হাজার ৬১০ জন ভোটার আছেন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ২০ ভাগ ভোট পড়েছে।

নারকেলগাছ প্রতীকের প্রার্থী মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকে আমার এবং আমার সমর্থকদের ওপর নানাভাবে হামলা, হয়রানি করে আসছিল জগ প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন। ভেবেছিলাম নির্বাচনের সময় পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সেটিও হলো না। নির্বাচনের দিন আমাদের এজেন্টরা এসেছিলেন। তাঁদের কেন্দ্রে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যাঁরা আমাদের ভোটার, তাঁদের কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।’