নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের সমালোচনা করে শাহজাহান বলেন, ‘ভোটের আগে তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছিল, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, আর এখন সেই চাল ৮০ টাকা। ভোটের আগে যে ফার্মের (ব্রয়লার) মুরগি, সাদা মুরগি মানুষ খেতে চাইত না, যে মুরগির কেজি ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আজকে সেই মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। তেলাপিয়া মাছের কেজি ২২০ টাকা। পাঙাশ মাছ, যেগুলো মানুষ খেতে চাইত না, সেই পাঙাশ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আজকে বাজারের যে অবস্থা সাধারণ মানুষের বাজার থেকে কিছু কিনে খাওয়ার অবস্থা নেই।’

আন্দোলন–সংগ্রাম–লড়াইয়ের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে দাবি করে শাহজাহান দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সরকার যদি স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিয়ে পদত্যাগ না করে, তাহলে আমরা কি বসে থাকব? আমরা কি হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকব? না। আজকে আমরা যে হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছি, যদি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা না ছাড়ে, এই হাতে হাত রেখে তখন আর শান্তির বাণী শোনাব না। হাতে হাত রেখে লড়াই করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করা হবে। কারণ, বিএনপি আন্দোলনের দল, লড়াইয়ের দল। বিএনপির নেতা–কর্মীরা আন্দোলন, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করবে।’

জেলা বিএনপির সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের স্ত্রী বেগম হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের, সাধারণ সম্পাদক শাহ জাফর উল্যাহ, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম, সাধারণ সম্পাদক নরুল আমিন খান প্রমুখ।

এর আগে মানববন্ধন কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা নোয়াকালীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড  মিছিল নিয়ে আদালত ভবনের সামনের সার্কিট হাউস সড়কে জড়ো হতে থাকেন। এদিকে বিএনপির কর্মসূচি উপলক্ষে জামে মসজিদ মোড়, প্রেসক্লাব, টাউনহল মোড় এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে এ সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।