নরসিংদীতে নির্মাণাধীন কারখানায় হামলার ঘটনায় যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

মো. মনিরুজ্জামানছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি সিমেন্ট কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় যুবদলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাঁকে নরসিংদী সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. মনিরুজ্জামান মনির (৪২) পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পলাশের ডাঙ্গা ইউনিয়নে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে নির্মাণাধীন কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেড কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই সময় কারখানাটির সাত শ্রমিক আহত হন। ল্যাপটপ ও মুঠোফোনসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করা হয়।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে কারখানার কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম পলাশ থানায় মামলা করেন। মামলায় মনিরুজ্জামানসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়। এরপর রাতেই নরসিংদী সদরে অভিযান চালিয়ে মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ নদীপথে দুটি ট্রলারে করে ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কারখানার পাশের ড্রেজারে হামলা চালায়। পরে ড্রেজারের ভেতরে ঢুকে শ্রমিকদের ছয়টি কক্ষের বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে তারা। এ সময় তারা মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও গুরুত্বপুর্ণ মালামাল লুট করে। তাদের বাধা দিলে সাত শ্রমিককে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তারা ট্রলারে করে চলে যায়। কিছুদিন আগে ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির কারখানার ড্রেজারের কাজ চেয়েছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষ ওই কাজ নিজেরাই করার কারণে তাঁকে কাজ দেননি। পরে তাঁর লোকজন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ চাঁদা দিতে রাজি হয়নি। এর জেরেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা মনিরুজ্জামানের অনুসারী।

সিমেন্ট কারখানাটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাহবুবুর রহমান অন্য আসামিদেও দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, মামলার পর এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মনিরুজ্জামানকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় নরসিংদী সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।