অল্প বৃষ্টিতেই বদরগঞ্জ পৌরসভার সড়কে জমে পানি, চলাচলে ভোগান্তি
১ নম্বর ওয়ার্ডে সড়কের অন্তত ২০০ ফুটজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার শাহাপুর মণ্ডলপাড়ার পাশের একটি সড়ক সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে থাকে। পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় ওই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সড়কটি দিয়ে চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতে ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ওই সড়কের অন্তত ২০০ ফুটজুড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। সড়কটি দিয়ে যাওয়া–আসা করেন বদরগঞ্জ মাস্টারপাড়া, মহিলা কলেজপাড়া, মণ্ডলপাড়া, ছকিমুদ্দিনের ডাঙা ও শাহাপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
এ ছাড়া ওই গ্রামগুলোর তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ওই সড়ক ধরে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন বদরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, বদরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, বদরগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বদরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বদরগঞ্জ ছকিমুদ্দিনের ডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাস্টারপাড়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায়। সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তাঁরা।
শাহাপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের দোকানি ফারুক হোসেন (৩৩) বলেন, ‘অল্পবৃষ্টি হলেও এই রাস্তা ডুবি থাকে। পানি বের হওয়ার কোন নালা নাই। রাস্তাটা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো পথচারী যাতায়াত করেন। ময়লা পানি জমে থাকায় জুতা পায়ে প্যান্ট পরে চলাচল করা মুশকিল হয়।’
মণ্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবদুল আজিজ (৫৫) বলেন, ‘প্রতিদিন জলাবদ্ধতা পেরিয়ে বদরগঞ্জ বাজারে যেতে হয়। রাস্তার পানিনিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিতে আমরা গ্রামবাসী কয়েকবার পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আশ্বাস দেন শিগগিরই সেখানে পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা তৈরি করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা কোনো কাজ করছেন না। এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে খুব সমস্যা হয়।’
বদরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশিক্ষার্থী ইমতিয়াজ ফারিন (৯) বলে, ‘হাঁটি স্কুল যাই, আসি। রাস্তার পানি নোংরা। প্যান্ট-জুতা ভিজি যায়।’
মাস্টারপাড়া গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী রেহেনা পারভীন বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষার সময় আমাদের ওই রাস্তার জলাবদ্ধতা পেরিয়ে কলেজে যাতায়াত করতে হয়। একটা নালা করলেই সমস্যার সমাধান হয়। সামান্য একটা নালা করার টাকা কি পৌরসভার নেই!’
জলাবদ্ধতার বিষয়ে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়াজুল ইসলাম মুঠোফোন বলেন, মণ্ডলপাড়ার পাশের ওই সড়কটি নিচু। তাই সড়কের কিছু অংশ সামান্য বৃষ্টি হলে ডুবে থাকে। এতে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে। সেখানকার পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিতে তিনি পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছেন। টাকা বরাদ্দ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।