‘আগে ভোট দিলে কদর কমে যাবে, তাই ঘোরাফেরা করছি’

সকাল থেকেই অনেক ভোটারকে কেন্দ্রের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। বেলা ১১টায় গাইবান্ধা আসাদুজ্জামান স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রের বাইরে
ছবি: প্রথম আলো

‘সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রে এসেছি, ৯টায় ভোট দিতে পারতাম, কিন্তু ভোট দেইনি। আগে ভোট দিলে তো আমাদের কদর কমে যাবে। তাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি, ঘোরাফেরা করছি।’

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে শহরের আসাদুজ্জামান স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোস্তাক আহম্মেদ এসব কথা বলেন।

একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা মোল্লারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বললেন, ‘ভোট দেরিতে দিতাম। কিন্তু প্রার্থীদের চাপে সাড়ে ১০টায় ভোট দিয়েছি। ভোটের পরিবেশ ভালো ছিল।’

আজ সকাল ৯টায় গাইবান্ধার ৭টি কেন্দ্রে একযোগে জেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়। সকাল ১০টায় গাইবান্ধা শহরের আসাদুজ্জামান স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। কেন্দ্রের প্রবেশপথে প্রার্থীর সমর্থকদের জটলা দেখা গেছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৮৫ জন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৩৬টি ভোট পড়ে।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছে। বেলা বাড়লে ভোট বাড়বে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা করছেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলার বুড়াইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৯৪ জন। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৬৬টি। শান্তিুপূর্ণ পরিবেশে ভোট হচ্ছে।

সকাল নয়টা থেকে ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

এ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা কম। তবে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। ইভিএমে ভোট দিলাম।’

আজ সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান বলেন, জেলার ৭টি উপজেলার ৭টি কেন্দ্রে ১৪টি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। এসব বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ২৮২ জন পুলিশ ও প্রতিকেন্দ্রে ১ জন করে মোট ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন—আওয়ামী লীগের সমর্থিত আবু বকর সিদ্দিক, জাতীয় পার্টির সমর্থিত আতাউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২২ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ৮০টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার মোট ১ হাজার ১৩৪ জন ভোটার ভোট দেবেন।