স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা
ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে অপহরণচেষ্টা, তাঁর কর্মী–সমর্থকদের মারধর ও পথ অবরুদ্ধ করে প্রচার–প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলার পর অভিন্ন অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা করেছেন নৌকার প্রার্থীর এক সমর্থক। আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলটির জেলা সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন)। পাল্টাপাল্টি মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, দুটি মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো গ্রেপ্তার নেই।

আরও পড়ুন

গত শনিবার রাতে ভান্ডারদহ এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামান এবং নৌকার কর্মী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সুমন হোসেন, হাফিজুর রহমান ও জেহের আলীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।

ঘটনার পর পরদিন রোববার ভোরে ঈগল প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক বাদী হয়ে আটক ৫ জনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১২০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে মামলা করেন। আটক পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহাম্মেদ হাসানুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন এবং বাকি চারজনের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিকে নৌকা প্রতীকের কর্মী হাশেম আলী বাদী হয়ে সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া গ্রামের বাসিন্দা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাসসহ ঈগল প্রতীকের ২৯ জন কর্মী–সমর্থকের নাম উল্লেখ করে অপহরণের চেষ্টা, নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা ও মারধরের অভিযোগ রোববার দুপুরে সদর থানায় এজাহার দাখিল করেন। সদর থানা–পুলিশ পরবর্তী সময়ে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করলেও পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কাউকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে করা মামলায় আনা অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেন। একই সময়ে তিনি তাঁর (সোলায়মানের) পক্ষে হাশেম আলীর করা পাল্টা মামলার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। সোলায়মান বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা ও জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার রাতের ঘটনার প্রকৃত চিত্র এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান বিষয়ে তাঁদের অবহিত করা হয়েছে। আশা করি তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’

এদিকে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে করা মামলাকে হয়রানিমূলক বলে দাবি করেছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে অপহরণচেষ্টাসহ নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলার সাক্ষীদেরই পাল্টা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস, পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’