নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জবাব দিলেন মায়া

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ওরফে মায়া
প্রথম আলো ফাইল ছবি

চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ওরফে মায়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বুধবার দুপুরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি চাঁদপুর-২-এর চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের কার্যালয়ে লিখিত জবাবটি জমা দেন প্রার্থীর প্রতিনিধি সেলিম মিয়া।

মোফাজ্জল হোসেন তাঁর জবাবে বলেন, চাঁদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে লিখিতভাবে যে অভিযোগ করেছেন তা তিনি, তাঁর পরিবার এবং দল অবগত নয়। এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, তাঁর বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী গত ২৭ নভেম্বর থেকে অসুস্থ ছিলেন। সাজেদুল ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এ কারণে দলের নেতা-কর্মীরা এবং তিনি এ সময় ব্যস্ত ছিলেন। কেউ এ সুযোগে তাঁকে হেয় প্রতিপন্ন করলে এর দায়ভার তাঁর ওপর বর্তায় না। তা ছাড়া তিনি দুবারের সংসদ সদস্য এবং একবার মন্ত্রী ছিলেন। এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে চাঁদপুর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি বা তাঁর কর্মী-সমর্থক এখনো নির্বাচনী কোনো প্রচারণায় নামেননি।

আরও পড়ুন

স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসফাক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তাঁর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর সমর্থকেরা নানাভাবে ইসফাকের সমর্থক ও এলাকার সাধারণ মানুষের বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন। এমনকি তাঁদের মারধর করে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়। নানা সময় তাঁর সমর্থকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

লিখিত অভিযোগে ইসফাক আরও বলেন, ১ ডিসেম্বর কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোবহান সরকার ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দেন এবং প্রার্থীর বাড়িতে প্রকাশ্য হুমকি দেন। এর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান সোবহান আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেনের অনুসারী।