ছাত্রকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে মরিচের গুঁড়া’ লাগানোর অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবু হানিফ

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক শিক্ষার্থীকে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বয়স ১২ বছর। সে আনোয়ারা উপজেলার ইমাম আজম (র.) ইন্টারন্যাশনাল হিফজুল কোরআন একাডেমির আবাসিক শিক্ষার্থী। তার বাড়ি একই উপজেলায়।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আবু হানিফ (৩০)। তাঁর বাড়ি মাদ্রাসার পাশেই।

পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা। অভিযোগে বলা হয়, পড়া শিখতে না পারার অভিযোগে দুই সপ্তাহ আগে ছেলেকে প্রথমে বেত দিয়ে পিটুনি দেন ওই শিক্ষক। পরে তাঁর ছেলের শরীরে ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে নির্যাতন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফিরলে ওই শিক্ষার্থী শরীরের ক্ষতস্থান দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়।

শিশুটির বড় ভাই অভিযোগ করেন, তাঁর ভাইয়ের পিঠের একাধিক স্থানে ব্লেড দিয়ে খোঁচানোর ক্ষতচিহ্ন আছে। খোঁচানোর পর ক্ষতস্থানে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে নির্যাতন করেন শিক্ষক।

মাদ্রাসার পরিচালক আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের বিষয়টি তিনি জানতেন না। শিক্ষক আবু হানিফকে গ্রেপ্তারের সময় তিনি পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে শুনেছেন।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।