আগামী ১০০ বছরেও মানুষ আপনাদের ভোট দেবে না: রুমিন ফারহানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে আজ শনিবার বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা
ছবি: প্রথম আলো

‘আপনারা ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর ২১ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন। কেউ আপনাদের ভোট দেয়নি। পরে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। গত ১৪ সালের নির্বাচনেই আপনাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সেই কারণেই নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দিয়েছেন। গত ১৫ বছর ধরে আপনারা যা করেছেন, তাতে আগামী ১০০ বছর মানুষ আপনাদের ভোট দেবে না।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আপনারা মানুষকে এই বোঝান, সেই বোঝান। মানুষ এখন সবই বোঝেন। মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। মানুষ এখন আপনাদের বিরুদ্ধে খেপে গেছেন। বাজারে গেলে চাল-ডাল, পেঁয়াজ, মুরগি, ডিমসহ কোনো কিছু কিনবার উপায় নাই। আপনারা তো লুটের টাকায় চলেন। আপনারা ব্যাংক খালি করে দিয়ে চলেন। আপনারা কীভাবে বুঝবেন সাধারণ মানুষ কী অবস্থায় আছে। মানুষের অবস্থা খুব খারাপ। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। এই মানুষ আপনাদেরে গদি থেকে টেনে নামাবে।’

রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না। বিএনপিসহ বিরোধী কোনো দল নির্বাচনে যাবে না। আমরা শতভাগ নিশ্চিত আন্দোলন করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’

গত ১ ফেব্রুয়ারিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–২ (সারাইল-আশুগঞ্জ) আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট সংসদ সদস্য (বর্তমানে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য) উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার উদ্দেশে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘দলের সঙ্গে বেইমানি করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দেখলেন তো ভোটকেন্দ্রে কেউ যায়নি। কেন্দ্রে কুত্তা ঘুমাইছে। বিএনপির সঙ্গে বেইমানি করে কেউ ভালো করতে পারে না। অতীতেও তাই হয়েছে। এই আসন বিএনপির ঘাঁটি। খালেদা জিয়ার ঘাঁটি।’

উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে উপজেলা সদরের বড্ডাপাড়া গরু বাজারে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচির সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামিম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর, সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম দুলাল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্যসচিব নূর আলম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামাল লস্কর প্রমুখ। সভায় কয়েক শ নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নুরুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘বিএনপির পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি সরাইল উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড় হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। এ জন্য তিনবার স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা প্রখর রোদে কর্মসূচি পালন করেছি। এর পরও আমাদের সভায় অনেক লোকসমাগম হয়েছে।’