সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান (মিনু) বলেছেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি।
আজ শুক্রবার বিকেলে নওগাঁয় গুপ্ত হামলায় নিহত বিএনপির নেতা কামাল আহমেদ ও কারাবন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া মতিবুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি। গত বছরের ১৮ অক্টোবর রাতে নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের ইয়াদ আলীর মোড়ে অটোরিকশা থামিয়ে কামালকে হত্যা করে হেলমেট ও মাস্ক পরা দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নওগাঁ কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান বিএনপির নেতা মতিবুল ইসলাম। তিনি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
মিজানুর রহমান বলেন, কামাল আহমেদকে হত্যার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি এ ঘটনার রহস্য পর্যন্ত উদ্ঘাটন করতে পারেনি। অথচ নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা ও এলাকাবাসী সবাই জানেন, কামালকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত। ঘাতকদের সবাই চেনে। বিএনপির সুসময় এলে এ হত্যার বিচার করা হবে। সব অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
এ সময় নিহত বিএনপির নেতা কামাল আহমেদের স্ত্রী-সন্তানদের সান্ত্বনা দেন মিজানুর রহমান। শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দেন।
নওগাঁ পৌরসভার রজাকপুর এলাকায় নিহত কামাল আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল), বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, শেখ রেজাউল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদ হায়দার, সদস্যসচিব রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।