রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটায় নগরের ষোলশহরের রেলওয়ে স্টেশনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই সমাবেশে বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করলে আলটিমেটাম ছাড়াই বঙ্গভবন ঘেরাও করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিকেল চারটা থেকেই চট্টগ্রাম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ষোলশহর রেলস্টেশনে জড়ো হন। সেখান বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে কিছুক্ষণের মধ্যেই কয়েক শ শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত হ৷ শিক্ষার্থীরা বিকেল পাঁচটার দিকে ষোলশহর থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরের ২ নম্বর গেট, জিইসি মোড় হয়ে পুনরায় ষোলশহর এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমরা সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই’; ‘আমরা ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘জুলাইয়ে হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রিয়াজুর রহমান বলেন, ‘এ দেশে স্বৈরচারের দোসরদের থাকতে দেওয়া যাবে না। স্বৈরাচারের কোনো রাষ্ট্রপতি আমরা চাই না। এই রাষ্ট্রপতি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর আমলাদের টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’
রিয়াজুর রহমান আরও বলেন, ‘এই রাষ্ট্রপতির কারণে স্বাধীনতার এত দিন পরও স্বৈরাচারের আমলাদের ধরা যায়নি। আমরা বিপ্লবী সরকারের স্বপ্ন দেখেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়েছে। আমার ভাইয়ের রক্তের বিচার তারা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্তের বিচার চাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েন না। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আলটিমেটাম ছাড়াই বঙ্গভবন ঘেরাও করা হবে। এখন আর ২৪ ঘণ্টা, ৪৮ ঘণ্টা আলটিমেটাম দেওয়া হবে না।’
আওয়ামী লীগ উদ্দেশে খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা এখনো দেশের আনাচকানাচে বসে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছেন। আপনারা হুঁশিয়ার হয়ে যান। আপনাদের জায়গায় এই বাংলার মাটিতে হবে না।’
আওয়ামী লীগের রাজনীতির অধিকার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে, যুবলীগের হাতে, ছাত্রলীগের হাতে আমরা ভাইয়ের রক্তের দাগ লেগে আছে, এই দাগ রেখে তাদের রাজনীতি করার অধিকার এই বাংলায় দেওয়া যাবে না।’