পলাশে ব্যানার ছিনিয়ে মঈন খানের পদযাত্রা পণ্ড করল পুলিশ

ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড করে দেয় পলাশ থানার পুলিশ
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে কয়েক দফা বাধা দেওয়ার পর তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশ কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের চরনগরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কর্মসূচিতে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মঈন খান।

বিএনপির স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন, আবদুল মঈন খানের নির্দেশনা ছিল, নেতা-কর্মীরা কোনো স্লোগান না দিয়ে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন। বেলা ১১টার দিকে চরনগরদী-পারুলিয়া সড়কের চরনগরদী মোড় থেকে পদযাত্রা কর্মসূচিটি পারুলিয়া মোড়ের দিকে যাত্রা শুরু করে। শুরুর পরপরই পলাশ থানার উপপরিদর্শক শামসুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাধা দিয়ে বলে, সামনে যাওয়া যাবে না। এ সময় তাঁদের অনুরোধ করে নেতা-কর্মীরা বলেন, মঈন খানের মতো জাতীয় নেতা এখানে আছেন, তাঁরা একটু হলেও যাবেন। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা এগোতে শুরু করলে পরপর তিনবার বাধা দেয় পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস ঘটনাস্থলে এসে কর্মসূচির ব্যানার ছিনিয়ে নেন এবং অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঠিপেটা করেন। এরপরই পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।

কর্মসূচিতে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মঈন খান
ছবি: প্রথম আলো

পুলিশি বাধায় পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হওয়ার পর শতাধিক নেতা-কর্মীকে নিয়ে চরনগরদী গ্রামের নিজ বাড়িতে চলে যান আবদুল মঈন খান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে গেছে। আমরা হিংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না বলেই পুলিশের উসকানি ও বাধার মুখেও কোনো দ্বন্দ্বে জড়াইনি। গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।’

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, পদযাত্রা করবেন আপত্তি নাই, জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র দেখান। তাঁরা আমাদের কাছে কোনো প্রকার অনুমতিপত্র দেখাতে পারেননি। তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে।’