ভোলায় ১০টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চক্রের ৭ সদস্য আটক
ভোলায় ১০টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সাতজন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর খোদাই করার যন্ত্র ও জাল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয় মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার।
চোর চক্রটির সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) একটি দালাল চক্র জড়িত থাকতে পারে উল্লেখ করে ফরহাদ সরদার বলেন, গতকাল ভোলার সদর উপজেলার ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা, এসআই মো. রাজীব হোসেনসহ পুলিশের একটি দল মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে বের হয়। এ সময় তারা মোটরসাইকেল চোর চক্রের খবর পায়। এরপর অভিযানে গিয়ে চোর চক্রের প্রধান মো. জিয়াকে আটক করে। তাঁর কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করা ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
জিয়া (২৬) ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল রহিমের ছেলে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে মোটরসাইকেল চোর চক্রের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পান জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার বলেন, এসব তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও ছয় সদস্যকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ১০টি চোরাই মোটরসাইকেল, মোটরসাইকেল টেম্পারিং করে ইঞ্জিন–চেসিস নম্বর বসানোর যন্ত্রসহ ভুয়া কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অপর ছয়জন হলেন ভোলা সদর উপজেলার আলীনগরের মো. সোহাগ (২৩), মো. রাসেল (৪৩), ভেদুরিয়ার মো. জাকির পণ্ডিত (৩৯), মো. সালাউদ্দিন (২৮), মো. রাকিব (২৭) ও পশ্চিম ইলিশার মো. আলী আজগর (২৫)। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন।
এ ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে জানিয়ে ফরহাদ সরদার বলেন, চক্রটি মোটরসাইকেল চুরি করে লোহার ডাইসের সাহায্যে ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর বসিয়ে বিআরটিএর দালালের মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করত। এরপর এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করত। পুরোনো মোটরসাইকেল চুরির পাশাপাশি ভারত থেকে চোরাই পথে মোটরসাইকেল এনে নম্বর বসিয়ে কাগজ তৈরি করেও বিক্রি করত তারা।