বেনজীরের জব্দকৃত রিসোর্টের পুকুর থেকে মাছ চুরির চেষ্টার অভিযোগে মামলা
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জব্দ করা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের পুকুর থেকে মাছ চুরির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার এই ঘটনায় ওই রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের (৫০) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জ কার্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে। আজ সকাল ১০টায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেন। রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ছাড়াও ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজের গত ২৩ মের আদেশ অনুযায়ী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক ক্রোক করা হয়। ওই পার্কের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগপ্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে রিসোর্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ (গতকাল শুক্রবার বিকেলে) চুরি করছেন বলে গোপন সূত্রে খবর পায় দুদক। বিষয়টি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা সরেজমিন তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়।
পরে গতকাল বিকেলে দুদকের এক কর্মকর্তা গিয়ে রিসোর্টের অভ্যন্তরের ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন। দুদকের কর্মকর্তাকে দেখে আসামি ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান। মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তাঁরা মাছ ধরছেন। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া ও সাড়ে ৩৭ কেজি কাতলা মাছ জব্দ করা হয়।
পরে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সামনে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় ওই মাছ নিলামে বিক্রয় করা হয়। ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ‘সাভানা ইকো রিসোর্টের পুকুর থেকে মাছ চুরির চেষ্টার ঘটনায় রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে মামলা করেছে দুদক। আসামিদের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি। আমরা তাঁদের ঠিকানা জানার চেষ্টা করছি এবং আসামি শফিকুলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।’