নড়াইলে সড়কের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন
প্রায় আড়াই বছরেও শেষ হয়নি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের খাশিয়াল বাজার থেকে নড়াগাতী পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ। সড়কটি খোঁড়াখুঁড়ির পর কাজ ফেলে চলে গেছেন ঠিকাদার। এখন খানাখন্দে ভরা সড়ক নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী।
দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে খাশিয়াল বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। খাশিয়াল ও পার্শ্ববর্তী জয়নগর ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচিতে এলাকার কয়েক শ মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে খাশিয়াল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ, খাশিয়াল আদর্শ সম্মিলনী উচ্চবিদ্যাপীঠের সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান, খাশিয়াল ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জাফর মোল্যা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য কাবির বিশ্বাস, বড়দিয়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়, স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম, সরদার আব্দুল করিম, ওবায়দুর খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, লোহাগড়া উপজেলার বড়দিয়া বাজার থেকে কালিয়া উপজেলার খাশিয়াল হয়ে নড়াগাতী থানায় যাতায়াতের প্রধান সড়ক ভাঙাচোরা হওয়ায় সাত কিলোমিটার (খাশিয়াল-নড়াগাতী) অংশ সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। প্রায় আড়াই বছর আগে কাজ শুরু হলেও বছরখানেক আগে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যায়। সড়কটির দুই পাশে খাশিয়াল ও জয়নগর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের মানুষ বসবাস করেন। সংস্কারের জন্য খুঁড়ে ফেলা রাস্তা বৃষ্টিতে কাদামাটিতে একাকার হয়ে দুর্ভোগের নামান্তর হয়ে উঠেছে। হাঁটাচলা তো দূরের কথা, যান চলাচলও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, রোগীসহ সবাই পড়ছেন ভোগান্তিতে।
মানববন্ধনে ইউপি চেয়ারম্যান বি এম বরকত উল্লাহ বলেন, আড়াই বছর হয়ে গেল সড়কের কাজ শেষ হলো না। খোঁড়া সড়কে খানাখন্দ ভরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। কয়েক দিন আগে দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। প্রতিনিয়তই ইজিবাইক-ভ্যান উল্টে যাচ্ছে। আগের সরকার না হয় পালিয়ে গেল, বর্তমান সরকারের কী দৃষ্টিগোচর হয় না? অবিলম্বে রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। অন্যথায় তাঁরা জেলা সওজের কার্যালয় ঘেরাও করবেন।
জানতে চাইলে জেলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের দিকে ‘ইউনূস অ্যান্ড ব্রাদার্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সড়কের কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিছু কাজ করার পর বাকি কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে কার্যাদেশ বাতিল ও জরিমানা করা হয়। বাকি কাজের জন্য তাঁরা নতুন করে দরপত্র আহ্বান করেছেন। এসব কারণে কাজটি শেষ করতে দেরি হচ্ছে। তবে এক মাসের মধ্যে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আশা করছেন, এবার আর কোনো সমস্যা হবে না, দ্রুতই কাজ শেষ হবে।