অনিয়ম-অনাস্থায় বদরপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। নানা অনিয়ম ও ওই ইউপির ১১ সদস্যের অনাস্থা প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখা-১-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বদরপুর ইউপির চেয়ারম্যান তানজিন নাহার ওরফে সোনিয়ার পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ২ নম্বর বদরপুর ইউপির চেয়ারম্যান তানজিন নাহারের বিরুদ্ধে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রাখা, কর আদায়ের ৪ লাখ ৭২ হাজার ২৭০ টাকার রেজিস্টার ও ক্যাশ বইয়ের সঙ্গে মিল না থাকা, গ্রাম আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা, ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসহযোগিতা করা, ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রাখা, ইউপি সচিবকে দৈনন্দিন কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগগুলো তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপির ১১ সদস্যের অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বিশেষ সভা ডাকেন। সভায় উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১১ জন সদস্যের সম্মতি, যা দুই-তৃতীয়াংশের বেশি।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান তানজিন নাহারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত এবং বিশেষ সভায় দুই–তৃতীয়াংশের বেশি সদস্যের সম্মতিতে অনাস্থা প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ায় তাঁর দায়িত্ব পালন সমীচীন হবে না মর্মে বিবেচিত হওয়ায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের পাঠানো অনাস্থা প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯–এর ৩৯(১৩) ধারা অনুযায়ী অনুমোদিত হয়েছে। এ জন্য জনস্বার্থে ইউপি চেয়ারম্যান তানজিন নাহারের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো। এ–সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সদরের ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান তানজিন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন নিয়ে কয়েকজন সদস্যের বিরোধিতা ও পরিষদে অনিয়ম করতে না দেওয়ায় কয়েকজন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।