গাজায় এত লোক মারা গেলেও বিএনপি মুরব্বিদের খুশি করতে কোনো কথা বলে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজায় এত লোক মারা গেলেও মুরব্বিদের খুশি করতে বিএনপি কোনো কথা বলে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের তোপখানা এলাকার সারদা হলে মৎস্যজীবী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, সেটি বলে না। জনগণের শিক্ষা, কর্মসংস্থান এগুলোর কিছুই বলে না। গাজায় এত লোক মারা যাচ্ছে, মুরব্বিদের খুশি করতে এ নিয়ে কোনো কথা বলে না। তারা জনগণের কথা বলে না। সুতরাং আমার ধারণা, তাদের গ্রহণযোগ্যতা নাই।’
এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘে পাঠানো ব্যক্তিগত ‘থ্যাংকস লেটার’ গণমাধ্যমে ছাপানো উচিত হয়নি মন্তব্য করে বলেন, ‘জাতিসংঘে যাওয়ার পর আমাদের একটি রেওয়াজ আছে, যাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়, দেখা-সাক্ষাৎ হয়, তাঁদের একটি ধন্যবাদপত্র দেওয়ার। এবারও সেটাই হয়েছে। ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেসব কথাবার্তা চিঠিতে লেখা ছিল, যা একান্ত ব্যক্তিগত চিঠি। আর এটা খামাখা একটি পত্রিকা ছেপে দিয়েছে। এটা বড় লজ্জার বিষয়। আমি জানি না এটা কীভাবে হলো, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, যারা দেশের শক্রর মতো আচরণ করছে। বাহবা পাওয়ার জন্য যা পাচ্ছে, তাই গণমাধ্যমে নিয়ে আসছে। এটা হওয়া উচিত নয়। এটা খুব দুঃখজনক।’
পোশাক খাতে নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু লোক আতঙ্কিত করার প্রচেষ্টা করে। তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা। কিছু বিপথগামী লোক আছে, তারা নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচনে গেলে ভোট পায় না। যারা ২০০৮ সালে নির্বাচনে গিয়ে ২৯টি আসন পেয়েছে। ২০১৮ সালে নির্বাচনে গিয়েছিল, ৭টি আসন পেয়েছে। তারা এবার হিসাব করে দেখেছে কোনো ভোট পাবে না। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে। সব শ্রেণি–পেশার জনগণ শেখ হাসিনাকে আবার চাইবে। এইটা আমাদের বিশ্বাস। এতে তারা ভয় পেয়ে গেছে। তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। গ্রহণযোগ্যতা হবে মানুষের কথা বললে। তারা মানুষের কথা বলে না। তারা বলে তাদের নেত্রীকে মুক্তি দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনকে জেল দেয়নি মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁকে জেলে দিয়েছে ওনারই প্রিয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তারাই কেস দিয়েছে। সুতরাং আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা বিচারব্যবস্থার ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করি না। তাদের এক নম্বর দাবি হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। দুনিয়ার কোনো দেশে এই সিস্টেম নাই।’
এদিকে রাত আটটার দিকে সিলেট নগরের ধোপাদিঘীর পাড় এলাকায় হাফিজ কমপ্লেক্সে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের দুই ওয়ার্ড নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছয়েফ খান ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নানের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা তাঁদের দুজনকে আলাদা করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।