বৃষ্টি কমলেও উজানের ঢলে সুনামগঞ্জে বেড়েছে নদীর পানি

সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি না হলেও বেড়েছে সুরমাসহ প্রায় সব নদীর পানি। আজ সকালে সুরমা নদীর ইব্রাহিমপুর এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

সুনামগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে সুরমাসহ জেলার প্রায় সব নদীর পানি বেড়েছে। উজানের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় নদী ও হাওরে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, জেলাজুড়ে ভারী বর্ষণ না হলেও থেমে থেকে ঝরছে বৃষ্টি। একই সঙ্গে উজানের ঢলও অব্যাহত আছে। এতে জেলার নদ-নদী ও হাওর পানিতে টইটুম্বুর। এখন আবার ভারী বৃষ্টি হলেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

তবে আপাতত স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, সুনামগঞ্জ ও উজানের ভারতের চেরাপুঞ্জিতে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কম হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে সুরমা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৯৮ মিটার। একই স্থানে গতকাল সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ৬ দশমিক ৯৭ মিটারে। বর্তমানে সেখানে পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার নিচে আছে। বর্ষা মৌসুমে স্থানটিতে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৮০ মিটার।

আরও পড়ুন

সুনামগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৮ মিলিমিটার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয় ৩০ মিলিমিটার। চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৬ মিলিমিটার। উভয় স্থানে বৃষ্টি না হওয়াটাকে স্বস্তির উল্লেখ করে পাউবো কর্মকর্তারা বলেন, এতে সুনামগঞ্জ এবং উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে পাহাড়ি ঢলের চাপ কমবে। জেলার নদী ও হাওরে পানি স্থিতিশীল থাকবে। বন্যা হওয়ার আশঙ্কাও কেটে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি না হলেও সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, জগন্নাথপুর উপজেলা নিম্নাঞ্চলে পানি বেড়েছে। জেলার দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড় দল ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন

সদর উপজেলার মঙ্গলকাটা গ্রামের বাসিন্দা সবুজ আলম বলেন, টানা বৃষ্টিতে এলাকার সবজি চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একই কারণে এলাকায় এবার পশুর হাটগুলোও খুব একটা জমেনি।

পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আবার বৃষ্টি হলে পানি বাড়তে পারে। তবে বড় কোনো বন্যা আপাতত হবে না।

আরও পড়ুন