সাপে কামড়ানো শিশুকে নেওয়া হলো ওঝার কাছে, পরে মৃত্যু

দিনাজপুর জেলার মানচিত্র

মা ব্যস্ত বাড়ির কাজে। বাবা গিয়েছিলেন নির্বাচনী সভায়। মেয়ে মাহিমা খাতুন ওরফে মাহি (৭) সমবয়সী প্রতিবেশী তিন শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে বেগুনখেত দেখতে যায়। জমির আলে পা রাখতেই মাহিমার পায়ে কামড় দেয় বিষধর সাপ। মাহিমা ও তার সঙ্গীরা চিৎকার দেয়। স্বজনেরা ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মাহিমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া মাহিমা খাতুন একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে। সে ঈশ্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মাহিমার বাবা মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে পাড়ার সমবয়সী তিন প্রতিবেশীর শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে বেগুনখেত দেখতে যায় মাহিমা। জমির আল দিয়ে হাঁটতে তার পায়ে সাপে কামড় দেয়। এ সময় সে চিৎকার দেয়। সঙ্গে থাকা তিন শিশু বাড়িতে খবর দিলে মাহিমার মা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে মাহিমাকে গ্রামের ওঝা নিখিল চন্দ্রের কাছে নেওয়া হয়। ওঝা তাকে ঝাড়ফুঁক দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। মাহিমার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জের কাঁচদহ ব্রিজ এলাকায় সে মারা যায়।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোমিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।