জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্রদলের দুই নেতা। স্থানীয়ভাবে তাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে
ছবি: সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নবঘোষিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের করা মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের ফটকের কাছাকাছি গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বাধা দেন। এ সময় কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষ হাতাহাতিতে জড়ায়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

হামলায় ছাত্রদলের কর্মী নাইমুর হাছান, মুরাদ হোসেন ও শফিকুল ইসলাম এবং শাখা ছাত্রলীগের উপগণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নাঈম নিশাত ও কর্মী আলী আক্কাস আহত হন। ছাত্রলীগের দুজন সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

শহীদ রফিক-জব্বার হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে বেগবান করতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি মীর মোশাররফ হোসেন হলের ফটকের পাশে এলে ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে তাঁদের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

আহত ছাত্রলীগ নেতা নাঈম নিশাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দুজন একটা কাজে সাভারের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মীর মশাররফ হোসেন হলের ফটকে ১৩-১৪ জনকে দেখে জিজ্ঞাসা করি, তারা এখানে কী করছে? এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা দুজন আহত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। আমরা তাদের ওপর আগে থেকে হামলা করিনি বা হামলার উদ্দেশ্যে সেখানে যাইনি।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে বাসে আগুন দিতে এসেছিলেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের দুজন কর্মী ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বিষয়টি দেখে তাঁদের বাধা দিলে তাঁরা ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করেন। এতে ছাত্রলীগের দুজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।