জোনাকির সঙ্গে এসেছেন তাঁর ভাই মো. সেলিম। তিনি বলেন, ‘আমার বোনের দুই ছেলে। বড় ছেলে ঈশানের বয়স আট বছর, ছোট ছেলে তাসমিনের চার বছর। ছোট ছেলেটা বোঝে না যে ওর বাবা আর নাই। বাবাকে দেখার জন্য আমার কাছে এসে বারবার কান্নাকাটি করতেছে। ওদের নিয়া আমি কী করব বুঝতে পারছি না।’
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারীসহ ১৯ জন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২৫ জন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ১০ জন।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনের নাম–পরিচয় পাওয়া গেছে। বেলা তিনটার মধ্যে ১৬ জনের লাশই তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। একটি লাশের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে।