তালতলীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে

তালতলীতে নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভেতরে লাগা আগুন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার খোট্টারচর এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার তালতলী উপজেলায় নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করায় বিদ্যুৎকেন্দ্রর মূল অবকাঠামোর তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত আনোয়ার তুমপা প্রথম আলোকে বলেন, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লাগার বিষয়টি জেনে ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠান। তাঁরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লাগার স্থান থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল অবকাঠামো দূরে থাকায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, দুপুরের দিকে হঠাৎ তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এরপর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকদের শোরগোল শোনা যায়। এর কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি প্রবেশ করে।

তালতলী ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে পরিত্যক্ত মালামালের ভাগাড়ের পাশে লোহা কাটছিলেন শ্রমিকেরা। এ সময় লোহা কাটার আগুনের ফুলকি বর্জ্যে লাগলে আগুন ধরে যায়। সেই থেকেই আগুনের সূত্রপাত। প্রথমে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা নিজেদের মতো করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তালতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে একটি ভাগাড়ের পাশে লোহা কাটছিলেন শ্রমিকেরা। সেই লোহার আগুনের ফুলকি ময়লা-আবর্জনায় আগুন লেগে আগুন ধরে যায়। এরপর শ্রমিকেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে তালতলী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময়মতো না পৌঁছাতে পারলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হতো।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের লিগ্যাল ম্যানেজার তারেক আমিন বলেন, ‘আমি ছুটিতে ছিলাম। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করি। ভেতর প্রবেশের সময় দেখি, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে বের হচ্ছে। এখনো অফিসে যাইনি। কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানি না।’