ইটভাটায় চলমান অভিযানের প্রতিবাদে সাভারে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তুরাগ এলাকায়ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটা থেকে তুরাগ এলাকায় মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। তবে বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের অনুরোধে সাড়া দেননি। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন বলে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে সালেহপুর এলাকার এ জেড বি অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি ইটভাটার মালিক আবু সাইদ বলেন, হঠাৎই উপজেলা প্রশাসন ইটভাটাগুলোয় অভিযান চালিয়ে ভাটার চিমনিগুলো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। একেকবার ব্রিক ফিল্ডে তিন–চার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। এভাবে ভেঙে দিলে তো সবাই পথে বসবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি, ব্রিক ফিল্ড যদি ভাঙতেই হয়, তবে আমাদের অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। নির্দিষ্ট একটা সময় দিলে আমরা সেভাবে নিজেদের ব্যবস্থা করে নেব। প্রয়োজনে আর এ ব্যবসা করব না।’

নুরখোলা ইটভাটার এক শ্রমিক বলেন, গত ৫ আগস্টের পর যদি ইটভাটা ভেঙে দেওয়া হবে, তাহলে সরকার ভ্যাট নিল কেন? ১০ বছর ধরে একেকটা ভাটা চলছে। হঠাৎ প্রশাসন ভাটাগুলো ভেঙে দিচ্ছে। যদি ইটভাটা ভেঙে দেয়, তাহলে প্রথম থেকে ভাঙেনি কেন, এখন মৌসুমের শেষে ভেঙে দিচ্ছে। ভাটা ভেঙে দিলে তাঁরা কোথায় যাবেন?

বিকেল পৌনে চারটার দিকে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সওগাতুল আলম বলেন, ইটভাটার মালিক–শ্রমিকেরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। তাঁদের সরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুবকর সরকার বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে, চলতি মাসের ১৭ তারিখের মধ্যে অবৈধ যত ইটভাটা রয়েছে, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। তাঁরা আদালতের সেই নির্দেশনা অনুসরণ করেই কাজ করছেন।