শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, ছটফট করছেন দম্পতি

লাশ
প্রতীকী ছবি

চাপা শব্দে তর্ক চলছিল স্বামী-স্ত্রীর। এরপর টিনের বেড়ায় দুজনের ধস্তাধস্তির শব্দ। প্রতিবেশীরা কী হয়েছে জানতে গিয়ে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেন দুজনকে। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনই বিষ পান করে ছটফট করছেন। দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এক দিন পর মারা যান স্বামী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের পশ্চিম আমিরাবাদ এলাকায় বিষপানের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে দুজনের বিষপানের ঘটনা নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইলিয়াস হোসেন। তাঁর বাড়ি মিরসরাই উপজেলার মিঠাছড়া গ্রামে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রীর নাম তাসলিমা আক্তার। তিনি একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইলিয়াস হোসেন ট্রাকে মালামাল ওঠানামার শ্রমিকের কাজ করতেন। পাঁচ বছর আগে তাসলিমার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এ দম্পতির তিন বছরের একটি কন্যাশিশু রয়েছে। ইলিয়াস শ্বশুরবাড়ির কাছে একটি টিনের ঘর ভাড়া নিয়ে তিন বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।

প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক খুরশিক আলম প্রথম আলোকে বলেন, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ইলিয়াস ও তাসলিমা দুজন কীটনাশক পান করেন। এ সময় দুজন ঘরের মাঝখানে থাকা একটি টিনের বেড়ার পাশে ছটফট করতে থাকেন। প্রতিবেশীরা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তাসলিমার বাবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মামাতো ভাই পরিচয়ে এক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, তাসলিমা ও তাঁর স্বামীর মধ্যে বিকেলে এক দফা ঝগড়া হয়। এর জেরে ইলিয়াস কীটনাশক নিয়ে সন্ধ্যায় ঘরে ফেরেন। এ সময় দুজনের আবারও ঝগড়া হলে ইলিয়াস কীটনাশক পানের চেষ্টা করেন। কীটনাশকের বোতল ছিনিয়ে নিতে গেলে তাসলিমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় ইলিয়াসের। একপর্যায়ে দুজনই কীটনাশক পান করেন।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক বিষয়ে মনোমালিন্য থেকে দুজন বিষ পান করেছেন। এর মধ্যে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।