রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে আহতদের বাসে করে মেডিকেলে নেওয়া হচ্ছে

সংঘর্ষে আহত এক শিক্ষার্থী। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দুই শ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে জায়গা দিতে না পেরে তাঁদের বাসে করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সুলতান উল ইসলাম ও হুমায়ুন কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ছুটে আসেন। সুলতান উল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের অন্তত দুই শ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে কাভার করা যাচ্ছে না। আমরা তাদের বাস দিয়ে রামেকে (রাজশাহী মেডিকেল কলেজ) পাঠাচ্ছি।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের সময় কয়েকটি দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। রাত সোয়া নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও সংঘর্ষ থামেনি।

বিনোদপুর বাজার এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মারমুখী অবস্থান দেখা গেছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে মাঝে সড়কে অবস্থান নিয়েছে।

রক্ত চেয়ে চিৎকার করছেন উদ্ধারকর্মীরা

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের জন্য রক্ত চেয়ে চিৎকার করছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ ঘটনায় মিনিটে মিনিটে বাড়ছে আহতের সংখ্যা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এক উদ্ধারকর্মী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ভাইয়েরা আহত হয়েছেন। সবাই রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে চলে যান। অনেক রক্তের প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে যান।’

আরও পড়ুন

পুলিশ বক্স ও দোকানপাটে আগুন

সংঘর্ষের ঘটনায় বিনোদপুর বাজারে স্থানীয় দোকানপাটে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকসংলগ্ন কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া বিনোদপুর ফটকসংলগ্ন পুলিশ বক্সটি ভাঙচুর করা হয়েছে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষে আহত হলেও স্থানীয় আহতদের সঠিক সংখ্যা এখনো বের করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে পুলিশ বা দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ফোন না ধরায় তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।