রাজাকারেরা সাধারণ ক্ষমাকে সম্মান দেয়নি: শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের শিক্ষক, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নেতৃত্বে। ওই গণহত্যায় আলবদর রাজাকারদের সহযোগিতা ছিল। তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি। দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ছিল। অথচ স্বাধীনতার পর তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেয়েছিল সাধারণ ক্ষমার কারণে। কিন্তু ওই সাধারণ ক্ষমাকে তারা সম্মান দিতে জানেনি। অবমূল্যায়ন করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টের সঙ্গে থেকেছে, আবার কখনো আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের ঝুমুর এলাকার বিজয় স্মৃতিস্তম্ভে ফল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
জামায়াতে ইসলামীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের জন্য লড়াই এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তারা নিজেদের সেভাবে দৃশ্যমান করতে পারেনি।
এ্যানি বলেন, কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি। রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতেও যুদ্ধ করেছেন। এটা যদি না করতেন তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যেত।
এ্যানি আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন। দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর শাহাদাতবরণের পর খালেদা জিয়া আপসহীন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে দেশের হাল ধরেছিলেন। পরপর তিনবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি ও খালেদা জিয়া ছিলেন জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন প্রমুখ।