বগুড়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘মাদক বিক্রেতার’ বিরুদ্ধে মামলা

ধর্ষণবিরোধী প্ল্যাকার্ড
ফাইল ছবি

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় শাকিল হোসেন (২৬) নামের এক তরুণকে আসামি করেছে ওই কিশোরীর পরিবার। অভিযুক্ত শাকিলের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক আইনে থানায় দুটি মামলা হয়েছিল।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে ওই কিশোরী। গত ২৩ এপ্রিল প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের সময় সন্ধ্যার পর বসতঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমিয়েছিল ওই ছাত্রী। এ সময় শাকিল কৌশলে ওই বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় কিশোরী চিৎকার দিলে আশপাশের লোক এগিয়ে আসেন। তখন শাকিল দ্রুত পালিয়ে যান।

ওই মাদ্রাসাছাত্রীর চাচা প্রথম আলোকে বলেন, শাকিল হোসেন এলাকার মানুষজনের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করেন। তিনি বিবাহিত। এলাকায় মাদকদ্রব্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাঁর ভয়ে গ্রামে অনেকেই কথা বলার সাহস পান না। এই তরুণ তাঁর ভাতিজিকে বেশ কিছুদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। তাঁর ভাতিজি এ কথা পরিবারকে জানিয়েছে। বিষয়টি ওই তরুণের পরিবারকেও জানানো হয়েছে। তাঁরা উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিলেও কথা রাখেননি। এ জন্য গতকাল সোমবার বিচার চেয়ে থানা-পুলিশের কাছে গিয়েছেন।

মামলা তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী প্রথম আলোকে বলেন, ওই তরুণের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা আছে। তিনি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগের পরপরই ওই তরুণ গ্রাম থেকে পালিয়েছেন। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ মঙ্গলবার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত তরুণকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।