টেকনাফে বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার, পরে বনে অবমুক্ত
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লোকালয় থেকে বিপন্ন প্রজাতির একটি বিষধর শঙ্খিনী সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে শামলাপুর হোয়াইক্যং ঢালার টেকনাফ বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য সংরক্ষিত এলাকার বনে অবমুক্ত করা হয়।
হোয়াইক্যং রেঞ্জের শামলাপুর ভিলেজ কনজারভেশন গ্রুপ (ভিসিজি) সভাপতি ও পুরানপাড়া ভিলেজ কমন ফরেস্টের (ভিসিএফ) সভাপতি আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী বাইল্যারছরা এলাকার একটি বাড়ি থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়। সাপটি বাড়িতে ঢুকে পড়লে একজন ভিসিএফ সদস্য তাঁকে ফোন করে জানান। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা সাপটি উদ্ধার করেন। পরে শামলাপুর বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা ও হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে রাত ১০টার দিকে টেকনাফ বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য এলাকায় সাপটি অবমুক্ত করেন।
আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, উদ্ধার করা সাপটির নাম শঙ্খিনী। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus fasciatus। সাপটি বিষধর। এর দৈর্ঘ্য সাড়ে পাঁচ ফুট ও ওজন প্রায় এক কেজি পর্যন্ত হতে পারে। গায়ে কালোর মধ্যে হলুদ ডোরাকাটার কারণে সহজেই সাপটি চেনা যায়। সাধারণত মানুষ দেখলে সাপটি পালানোর চেষ্টা করে। মাথা ঝোপ বা মাটির মধ্যে লুকিয়ে রাখে। তখন সাপটির ভোঁতা লেজকে অনেকে মাথা ভেবে ভুল করেন। সাপটি নিশাচর। তারা ইঁদুরের গর্ত, ইটের স্তূপ ও উইয়ের ঢিবিতে থাকতে পছন্দ করে। এ সাপ যে এলাকায় থাকে, সেখানে অন্য জাতের সাপ সাধারণত থাকে না। কারণ, অন্য প্রজাতির সাপ এগুলোর প্রিয় খাদ্য। শঙ্খিনী সাপ কেউটে, গোখরাসহ অন্যান্য বিষধর সাপকে খেয়ে ফেলে। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন সাপটিকে বাংলাদেশে বিপন্ন হিসেবে ঘোষণা করেছে।