সিলেটে ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে গাছে ঝুলছিল বাংলাদেশি যুবকের লাশ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছে জাকারিয়া আহমদ (২৫) নামের এক বাংলাদেশি তরুণের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের লামা গ্রামের ওপারে লাশটি পাওয়া যায়। ভারত সীমান্তের ভেতরে হওয়ায় বিজিবি ও পুলিশ এখনো লাশটি উদ্ধার করতে পারেনি।
নিহত জাকারিয়া আহমদ উপজেলার উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী লামা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় তাঁর লাশ ওই গাছে ঝুলছিল। পুলিশ ও বিজিবি তাঁর লাশ ফেরত আনতে স্বজনদের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকারিয়া আহমদ সম্প্রতি বিয়ে করেন। তাঁর বাড়ি কোম্পানীগঞ্জের পর্যটনকেন্দ্র উৎমাছড়া-সংলগ্ন এলাকায়। আজ সকাল ৬টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন ভারত সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর খুঁটির কাছে একটি গাছের সঙ্গে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানানো হয়।
উত্তর রণিখাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ফয়জুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ঘটনার খবর পেয়েছেন। নিহত ব্যক্তির বাড়ি ভারত সীমান্ত এলাকায়। যেখানে জাকারিয়ার লাশ ঝুলছে, সেখান থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ বলেন, সীমান্ত এলাকার বিষয়গুলো বিজিবির সহায়তা নিয়ে করতে হয়। যেহেতু ঘটনাটি ভারত সীমান্তের অভ্যন্তরে, যার কারণে পুলিশ কিংবা বিজিবি ঘটনাস্থলে যেতে পারছে না। বিজিবি সদস্যরা এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করতে পরামর্শ দিয়েছেন। জিডির পর সেই সূত্র ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশটি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির মরদেহ ভারত সীমান্তের প্রায় ২০ থেকে ২৫ গজ অভ্যন্তরে আছে। লাশটি ফিরিয়ে আনার পর ময়নাতদন্ত করলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।