স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের চার নেতাকে বহিষ্কার

চুনতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি জানে আলম

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের চার নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই চার নেতাকে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।

অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন চুনতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জানে আলম, সহসভাপতি মোশারফ হাসান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন এবং দপ্তর সম্পাদক মাহফুজ রায়হান।

চুনতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মোশারফ হাসান

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চার নেতাকে অব্যাহতির কারণ হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। তবে অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের দাবি, তাঁরা দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। আসন্ন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা না চালিয়ে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণা চালানোর কারণে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, সাংগঠনিক কাজকর্মে তাঁদের পাওয়া যায় না। তাই তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

চুনতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন

অব্যাহতি পাওয়া চুনতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও চুনতি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জানে আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রার্থী নেই। দলীয় প্রার্থী থাকলে তাঁর পক্ষে কাজ করতাম। সিরাজুল ইসলাম আমার প্রতিবেশী এবং আমার জন্য জেল খেটেছেন। দলীয় বিধিনিষেধ না থাকায় নির্বাচনে তাঁর জন্য কাজ করছি।’

চুনতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহফুজ রায়হান

চুনতি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হুমায়ুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই চার নেতা কী ধরনের দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন, তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা নেতৃবৃন্দ আমার সঙ্গে আলোচনা করেননি।’