লালমোহনে বিএনপির মিছিলে আওয়ামী লীগের হামলা, আহত ২৫

দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভ। আজ বৃহস্পতিবার চরফ্যাশন সড়কের জনতা বাজার এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

ভোলার লালমোহন উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ওই হামলা চালানো হয়েছে। আজ বিকেলে জেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভোলা-৩(লালমোহন-চরফ্যশন)আসনের সংসদ সদস্য নূরুননবী চৌধুরী শাওন।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জুলাই ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা এবং ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন হত্যার প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবিতে লালমোহনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের পাশে সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদের বাসভবনের সামনে এই সমাবেশ হওয়ার কথা। কিন্তু মিছিল নিয়ে আসার সময় বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ভোলা সদর উপজেলায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  এতে জেলা বিএনপির সহসভাপতি হুমায়ুন কবির সোপান বলেন, বৃহস্পতিবার ১১টার দিকে লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট, গজারিয়া, নয়ানিগ্রাম ও রায়চাঁদ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসার পথে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জাকির হোসেন, সবুজ, ফাহিম, আবদুল্লাহ, শাহাবুদ্দিন, দুলাল আলম, বজলুর রহমানসহ ২৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। এঁদের মধ্যে ৬ জন চরফ্যাশন ও বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, আইনবিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হেলাল উদ্দিন, লালমোহন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব বাবুল পঞ্চায়েত প্রমুখ।

তবে বিএনপি নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালানো অভিযোগ অস্বীকার করে লালমোহন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুননবী চৌধুরী শাওন বলেন, ‘সমাবেশ তো দূরের কথা, লালমোহন উপজেলার কোথাও বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করেনি। তাই তাদের ওপর হামলার প্রশ্নই ওঠে না। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আসলে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী লঞ্চে করে এসে চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটে নামে। পরে তারা জনতাবাজার বিক্ষোভ করে। তখন তাদের কারা ধাওয়া করেছে, না মারধর করেছে, এটা আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, বিএনপি লালমোহন উপজেলায় ঢোকার আগেই চরফ্যাশন থানা–পুলিশ ধাওয়া করেছে। ওরা চরফ্যাশন উপজেলার জনতাবাজার এলাকায় নিরিবিলি একটা স্থানে বিক্ষোভ করে।