২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছেন সংগীতশিল্পী মনিরুল ইসলাম

চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছেন সংগীতশিল্পী মনিরুল ইসলামছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত সংগীতশিল্পী মনিরুল ইসলাম (খোকন) চিকিৎসার অভাবে ধুঁকছেন। তিনি হৃদ্‌রোগে ভুগছেন। তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে পেসমেকার স্থাপন করা প্রয়োজন। তবে টাকার অভাবে তিনি পেসমেকার স্থাপন করতে পারছেন না।

পেসমেকার হলো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হার্টবিট নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরে স্থাপন করা হয়।

বর্তমানে কণ্ঠশিল্পী মনিরুল ইসলাম মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের খান বানিয়ারা গ্রামে নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী। সেখানেই বিনা চিকিৎসায় কাটছে তাঁর দুর্বিষহ দিন।

মনিরুল ইসলাম একাধারে সুরকার, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী। তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর ঢাকায় বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে সংগীতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সহস্রাধিক গান রচনা করেছেন। ১২০টি গানে তিনি সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিতে গান পরিবেশন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর লেখা অনেক গান গেয়েছেন দেশের স্বনামধন্য সংগীতশিল্পীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তাঁর নিজের লেখা গানে নিজেই সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন। সংগীতে অবদানের জন্য পেয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কারও।

১৯৭৯ সালে শিল্পী মনিরুল ইসলাম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। এরপর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তাঁর অনেক অর্থ খরচ হয়। গান শিখিয়ে, বেতার ও বিটিভিতে গান গেয়ে একসময় নিয়মিত সম্মানী পেতেন। ২০১৯ সালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর অর্থসংকটে পড়েন। তিন মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে পেসমেকার স্থাপন করা প্রয়োজন।

সম্প্রতি খান বানিয়ারা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সংগীতশিল্পী মনিরুল ইসলাম বিছানায় শুয়ে আছেন। খাটের এক পাশে হারমোনিয়াম, বেহালা ও গিটার পড়ে আছে। সেখানে আলাপকালে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘কত বড় বড় সুরকার, গীতিকার ও শিল্পীর সঙ্গে আমার ওঠাবসা ছিল। এখন আমি শয্যাশায়ী, এখন কেউ আর খোঁজ নেন না। আমি আবার গানে ফিরতে চাই।’

মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার বলেন, তাঁর স্বামীর বুকে একটি পেসমেকার স্থাপন করা গেলে তিনি বেঁচে যাবেন। এতে ৮–১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে একজন শিল্পী বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছেন। স্বামীর চিকিৎসার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সেই সঙ্গে স্বামীকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চেয়েছেন।