রংপুরে এক সাংবাদিককে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাফনের কাপড় ও চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিঠিতে তাঁকে রংপুর বা মিঠাপুকুরের সুবিধামতো জায়গায় পেলে ‘খতম’ করার কথা বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে এই হুমকির পার্সেলটি পান বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল হাসান বেসরকারি টেলিভিশন মাইটিভির রংপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ছোট রসুলপুর এলাকায়। পুলিশ বলছে, কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাহমুদুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ৫টার দিকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের রংপুরের পীরগঞ্জ শাখা থেকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর নামে দুটি পার্সেল এসেছে। দুটির প্রেরক পীরগঞ্জ উপজেলা সমকালের প্রতিনিধি মাজহারুল আলম (মিলন)। একটিতে প্রেরকের ঠিকানা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও অন্যটিতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উল্লেখ করা হয়েছে। এতে তাঁর সন্দেহ হয়। তখন ঘটনাস্থলে যান মাজহারুল আলমও।
মাহমুদুল হাসান বলেন, পার্সেল দুটিতে দুটি কাফনের কাপড়, দুটি চিঠি ও গত বছর পীরগঞ্জের অবৈধ ইটভাটা ও অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে তাঁর দেওয়া ফেসবুক পোস্টের স্ত্রিনশটের প্রিন্ট কপি ছিল। চিঠিতে লেখা, ‘মাহমুদুল, অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তোর কারণে। এবার আমার খেলা শুরু, ঠিকমতো পছন্দের মতো খাবার খেয়ে নে হারামখোর। তোর সময় শেষ। রংপুর বা মিঠাপুকুর সুবিধামতো জায়গায় কোথাও পেলে খেল খতম। অপেক্ষার প্রহর গণনা শুরু।’ পার্সেল দুটি গোবিন্দগঞ্জে বুকিং দেওয়া হয়েছে বলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের কারণে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে অভিযোগ করে মাহমুদুল হাসান বলেন, তিনি নিদিষ্ট করে কাউকে দায়ী করছেন না। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি পীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সাংবাদিক মাজহারুল আলম বলেন, তাঁরা দুজন পীরগঞ্জের নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করেছেন। এ জন্য দুজনকে টার্গেট করে এই চিঠি দেওয়া হতে পারে।
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, কে বা কারা এই পার্সেল পাঠিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।