রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আইনের অনুমোদন
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আইনের অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নাঈমা খন্দকারের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও আচার্য কর্তৃক বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদগুলোর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা ২০২৫ অনুমোদিত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আজ বিকেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের মতামত শুনে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। আর নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন ১০ শিক্ষার্থী। তখন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান। কর্মসূচির তৃতীয় দিনে উপাচার্য বিষয়টি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙেন।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত এ সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অনশনকারী শিক্ষার্থী খোকন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা আছে। কিন্তু অন্য ক্যাম্পাসে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পরে এই দ্বিধাগুলো কেন আসবে? সেই জায়গায় আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
জাতীয় ছাত্রশক্তির রংপুর মহানগর কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাজিম উল হকও দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচন শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ছিল। আমরা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে ও আন্দোলনগুলোতে আমাদের সমর্থন ছিল। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখেছি, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। আমরা চাই, আমাদের এখানে বিতর্কগুলো না হোক। এ জন্য তাড়াহুড়া না করে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।’