কম্বল আত্মসাতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও তাঁর দুই ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা ও তাঁর দুই ছেলে মো. মাহিন হোসেন ও মো. তাজ হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা ও তাঁর দুই ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইমরান আহমেদ এ আদেশ দেন।
এর আগে ১২ মে একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পটুয়াখালী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খায়রুল আলম আদালতের কাছে ওই তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

এসআই মো. খায়রুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কম্বল আত্মসাতের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পটুয়াখালীর সংগঠক রিফায়েত কবির খান গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা এবং তাঁর দুই ছেলে মো. মাহিন হোসেন (৩৩) ও মো. তাজ হোসেন তালুকদারকে (২৮) আসামি করেন তিনি। মামলাটির তদন্তের স্বার্থে তিনি (তদন্তকারী কর্মকর্তা) আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি আদালতের আদেশের কপি পাননি বলে জানান।

আদালতের আদেশে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ২৫ (১) ধারার অভিযোগ রয়েছে। ২৮ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানা-পুলিশের আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এর ফলে আসামিরা এই মুহূর্তে দেশ ত্যাগ করলে তদন্তে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে ১২ মে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মো. খায়রুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত মামলার নথি পর্যালোচনা করে আবেদন মঞ্জুর করে আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আকাশপথ, স্থলপথ ও নৌপথ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এ ছাড়া পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার এ আদেশ বলবৎ রাখার কথা জানান আদালত।

আদালত এই আদেশের কপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, পটুয়াখালী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার এবং সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দিয়েছেন।

কাজী কানিজ সুলতানা একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-২৯-এর সংসদ সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, পটুয়াখালী জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।

এই মামলা ও আদালতের আদেশের ব্যাপারে কাজী কানিজ সুলতানার প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।