চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীর তিনজন সংসদ সদস্যের ছেলে, শ্যালক ও শাশুড়ি

সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চারজনের মধ্যে তিনজনই স্থানীয় সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর ছেলে, শ্যালক ও শাশুড়ি। তাঁদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান।

আজ রোববার যাচাই-বাছাই শেষে সংসদ সদস্যের তিন স্বজনসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী ১২ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। পরদিন ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচারণায় নামতে পারবেন।

শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি। তিনি টানা তিন মেয়াদে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৪ সালে প্রথমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ২০১৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এবং গত ৭ জানুয়ারি জাপার মনোনয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিউটি বেগমকে হারিয়ে তিনি সংসদ সদস্য হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।

শিবগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা সংসদ সদস্যের তিন স্বজন হলেন তাঁর শ্যালক ও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ, ছেলে জেলা জাপার সদস্য, জেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হোসাইন শরীফ ও শাশুড়ি মোছা. ফাতেমা বেগম। তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

মা ও ভাগনের মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আগে থেকেই এলাকায় প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছিল, নির্বাচন কমিশনে প্রভাব খাটিয়ে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করাবেন। এ জন্য মা ও ভাগনেও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। আমার মনোনয়নপত্র বৈধ হলে তাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।’

ছেলে, শ্যালক ও শাশুড়ি মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে তাঁর ছেলে হোসাইন শরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতে নির্বাচন করব। মনোনয়নপত্র বৈধ হবে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে ও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার মাধ্যমে ভবিষ্যতে নির্বাচন করার পথ সুগম হয়েছে। তবে এবার মামাকে (ফিরোজ) সুযোগ করে দিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে পারি।’