টিকিট কেটেও দুই শিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ট্রেনযাত্রা, লিখিত অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

নির্ধারিত আসনের টিকিট কেটেও দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ট্রেনের একটি বগির টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে ঢাকায় যেতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মো. রুহুল কুদ্দুছ নামের এক যাত্রী।

রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এতে ট্রেনে কর্তব্যরত গার্ড (পরিচালক) ও টিটিইর (ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক) বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।

মো. রুহুল কুদ্দুছের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পশ্চিম মেড্ডা। তিনি একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় যেতে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের ১৮ আগস্টের তিনটি টিকিট (একটি প্রাপ্ত ও দুটি অপ্রাপ্তবয়স্ক) অনলাইনে কেনেন রুহুল কুদ্দুস। টিকিটে বগি নম্বর ‘ছ’ ও সিট নম্বর ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ লেখা ছিল। ১৪ আগস্ট কেনা এ টিকিটের প্রিন্ট কপি ১৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার থেকে সংগ্রহ করেন তিনি।

১১ ও ৬ বছর বয়সী দুই মেয়েকে নিয়ে ১৮ আগস্ট সকালে নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যান। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে উপকূল এক্সপ্রেস পৌঁছালে তিনি ‘ছ’ বগি খুঁজে না পেয়ে ‘চ’ বগিতে ওঠেন। ট্রেনটি আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিলে কর্তব্যরত গার্ডের সহযোগিতা চান। ‘ছ’ বগি সংযুক্ত নেই এবং এ বিষয়ে কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। পরে টিটিইর সহযোগিতা চান। কিন্তু টিটিই তাঁকে পুলিশের ভয় দেখান। এ সময় তাঁর দুই কন্যাসন্তান কান্নাকাটি শুরু করেন। এ অবস্থায় দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ‘চ’ বগির টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে ঢাকায় যেতে হয় রুহুল কুদ্দুসকে।

ভোক্তা হিসেবে অধিকার আদায়ের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উল্লেখ করে এই ট্রেনযাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রেনের গার্ড ও টিটিইর সহযোগিতা চেয়ে যে ব্যবহার পেয়েছি, তা আমার জন্য কষ্টদায়ক। যাত্রীদের সেবা দেওয়াই তো তাঁদের কাজ। আমি তো বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠিনি। তাহলে আমার সঙ্গে এমন আচরণ কেন করা হলো? অন্তত ব্যবহারটা ভালো করতে পারতেন তাঁরা।’

অভিযোগটি পেয়েছেন জানিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।