সিলেটে আগাম বন্যার সম্ভাবনা কম, জানালেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় আগাম বন্যার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তবে অপ্রত্যাশিত বন্যা হয়ে গেলে সব ধরনের প্রস্তুতি সিটি করপোরেশনের রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকায় সুরমা নদী পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মেয়র।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বর্ষা মৌসুমে পানি ১০ দশমিক ৮০ মিটার থেকে বেড়ে গেলে বিপৎসীমা ধরা হয়। সেখানে আজ দুপুর ১২টায় নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি ৭ দশমিক ৩৬ মিটারে অবস্থান করছিল।
মেয়র বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সব ধরনের সহযোগিতার জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত রয়েছে।
পাউবো সিলেট সূত্রে আরও জানা গেছে, সিলেটের সুরমা নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বাড়ছে। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ মিটার। সেখানে গতকাল সোমবার পানি ৭ দশমিক ৭ মিটারে অবস্থান করলেও আজ বেলা ১২টায় ৭ দশমিক ২৭ মিটারে অবস্থান করছিল। নদীর বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ৫ মিটার। নদীর ওই পয়েন্টে গতকাল পানি ৮ দশমিক ৯৯ মিটারে অবস্থান করছিল তবে আজ দুপুর ১২টায় শেওলা পয়েন্টে পানি বেড়ে গিয়ে ৯ দশমিক ২১ মিটারে অবস্থান করছিল।
নদী পরিদর্শনকালে মেয়রের সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমানসহ সিটি করপোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ প্রথম আলোকে বলেন, সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টি, আগাম বন্যা, বন্যার শঙ্কা কিংবা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা কম। সিলেটের নদ-নদীগুলো ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় এবং পাহাড়ি ঢল সিলেট অঞ্চল দিয়ে নেমে আসায় ভারতের বৃষ্টি সিলেটের জন্য ভয়ানক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, বর্তমানে মাঠে ফসল না থাকায় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম। বরং বন্যার ফলে পানির সঙ্গে আসা পলি মাটি জমির উর্বরতা বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। তবে ভারতে বৃষ্টির ফলে নদ-নদীর পানি যেকোনো মুহূর্তে বেড়ে যেতে পারে। এমনটি হলে শহরের বাসিন্দাদের জন্য কিছুটা শঙ্কারও বিষয়।