দেবীদ্বার পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৫ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী পৃথক চিঠিতে ওই নেতাদের নোটিশ পাঠান। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন মেয়র প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মো. শাহজাহান মোল্লা (ইস্তিরি প্রতীক) ও পৌর বিএনপির সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে সুমন (চামচ), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মহসিন সরকার (টিউব লাইট), ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবদুল আলীম (পাঞ্জাবি) ও ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম (পানির বোতল)।

মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় না। এরপরও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বর্তমান সরকারের অধীনে সব ধরনের নির্বাচনে দলগতভাবে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে সিটি নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সে ক্ষেত্রে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিচ্ছে বিএনপি।

জানতে চাইলে মেয়র পদপ্রার্থী বিএনপির নেতা মো. শাহজাহান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো কারণ দর্শানোর নোটিশ পাইনি। পেলে জবাব দেব। স্থানীয় সরকার নির্বাচন, তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। প্রথমবারের মতো এখানে নির্বাচন হচ্ছে। পৌরসভায় বিএনপির ভোট বেশি। আওয়ামী লীগের তিনজন প্রার্থী। নির্বাচনে জিতব ভেবে প্রার্থী হয়েছি।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। এ জন্য দল তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
২০০২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দেবীদ্বার পৌরসভা গঠিত হয়। কিন্তু সীমানা নিয়ে আইনি জটিলতা থাকায় গত দুই দশকে একবারও নির্বাচন হয়নি। এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩১ মে দেবীদ্বার পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এতে মেয়র পদে ৮, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৯ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৭ জুলাই ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।